কাউন্সেলিং এর প্রয়োজনীয়তা: মানসিক সুস্থতার পথপ্রদর্শক

কাউন্সেলিং এর প্রয়োজনীয়তা

মানুষের জীবনে মানসিক চাপ, হতাশা, উদ্বেগ কিংবা ব্যক্তিগত সমস্যার সম্মুখীন হওয়া খুবই স্বাভাবিক। জীবনের প্রতিটি পর্যায়েই নানা রকম মানসিক দ্বন্দ্ব এবং চাপ তৈরি হয়। এই পরিস্থিতিতে ‘কাউন্সেলিং এর প্রয়োজনীয়তা’ অনেক বেশি বোধ হয়। মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে, সমস্যাগুলো বুঝতে এবং সমাধানের পথ খুঁজে পেতে কাউন্সেলিং একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।

কাউন্সেলিং এর অর্থ এবং এর গুরুত্ব

কাউন্সেলিং হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে একজন প্রশিক্ষিত পেশাদার ব্যক্তি (কাউন্সেলর) মানুষের মানসিক, সামাজিক এবং ব্যক্তিগত সমস্যাগুলো বুঝতে সাহায্য করেন এবং তাকে সঠিক দিশা দেখান। কাউন্সেলিং শুধু সমস্যার কথা শোনা নয়, বরং একজন মানুষ কীভাবে তার মানসিক চাপ মোকাবেলা করতে পারে, তার ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করতে পারে সে ব্যাপারেও গাইড করে।

মানুষের জীবনে মানসিক সুস্থতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ভালো মন মানেই ভালো জীবন। আর কাউন্সেলিং সেই ভালো মনের রাস্তা সহজ করে।

রিহ্যাব সেবার জন্য ফ্রি কনসালটেশন নিতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: কল করুন: +88 01716623665

কাউন্সেলিং এর প্রয়োজনীয়তা কেন?

জীবন কখনোই একরেখা নয়। এতে ওঠানামা, সমস্যা, মানসিক চাপ, অনিশ্চয়তা, সম্পর্কের টানাপোড়েন, কিংবা নিজের প্রতি আস্থার অভাব—এসবই আমাদের জীবনের অংশ। এই সমস্ত সমস্যার মোকাবেলায় কাউন্সেলিং আমাদের এক নির্ভরযোগ্য সহায়ক হতে পারে। নিচে আমরা বিস্তারিতভাবে জানবো, কেন কাউন্সেলিং আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ:

মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমানো

● চাপের উৎস কোথায়?

আজকের দিনটিতে আমরা প্রতিনিয়ত নানা চাপে ভুগছি। অফিসের কাজের চাপ, পড়াশোনার চিন্তা, পারিবারিক দায়িত্ব, আর্থিক অনিশ্চয়তা—সবকিছু মিলিয়ে আমাদের মাথার ওপর থাকে এক অদৃশ্য ভার। দিনের পর দিন এই মানসিক চাপ জমতে জমতে তৈরি করে উদ্বেগ, হতাশা, কিংবা ডিপ্রেশন

● কীভাবে সাহায্য করে কাউন্সেলিং?

কাউন্সেলিং আপনাকে প্রথমে নিজের চাপ এবং তার উৎস চিহ্নিত করতে সাহায্য করে। আপনি যখন কারও সঙ্গে মন খুলে কথা বলেন, আপনার সমস্যা গুলো শুনে কাউন্সেলর আপনাকে ধাপে ধাপে সঠিক দিশা দেখান। এই আলোচনা, পরামর্শ ও কৌশলের মাধ্যমে মানসিক ভার হালকা হয়। আপনি শিখতে পারেন কীভাবে নিজের অনুভূনাগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখবেন এবং ছোট ছোট পদক্ষেপে চাপ কমাবেন।

সম্পর্কের সমস্যা সমাধান

● সম্পর্কেও থাকে চ্যালেঞ্জ

মানুষ সামাজিক জীব। আমরা পরিবার, বন্ধু, সহকর্মী—বিভিন্ন সম্পর্কের মাধ্যমে জীবনকে পূর্ণ করি। কিন্তু অনেক সময় এসব সম্পর্কেই আসে ভুল বোঝাবুঝি, তিক্ততা কিংবা দূরত্ব। যা আমাদের মানসিক শান্তিকে ব্যাহত করে।

● কাউন্সেলিং এর ভূমিকা কী?

একজন পেশাদার কাউন্সেলর সম্পর্কের সমস্যাগুলো নিরপেক্ষভাবে বিশ্লেষণ করে বুঝতে সাহায্য করেন কী ভুল হচ্ছে, কোথায় পরিবর্তন দরকার। সম্পর্কের মধ্যে যোগাযোগ ও বোঝাপড়া উন্নত করতে, একে অপরকে বুঝতে, এবং সম্মান করতে কাউন্সেলিং একটি শক্তিশালী মাধ্যম। সম্পর্ক পুনর্গঠন, সমঝোতা সৃষ্টি এবং দীর্ঘস্থায়ী সমাধানে এটি ভূমিকা রাখে।

আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি

● আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়ার কারণ

জীবনে ব্যর্থতা, অতীতের অভিজ্ঞতা, পারিবারিক সমালোচনা, বা সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি অনেক সময় আমাদের আত্মবিশ্বাস হ্রাস করে দেয়। এর ফলে আমরা আমাদের কাজ, সিদ্ধান্ত, এমনকি ব্যক্তিত্ব নিয়েও সন্দিহান হয়ে পড়ি।

● কাউন্সেলিং কীভাবে আত্মবিশ্বাস বাড়ায়?

কাউন্সেলিং আমাদের নিজের ইতিবাচক দিকগুলো চিনতে শেখায়। কাউন্সেলররা সহানুভূতিশীলভাবে কথা বলে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করেন। তারা আপনাকে এমন কৌশল শেখান যা দিয়ে আপনি নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠবেন, ভুলকে শিক্ষা হিসেবে গ্রহণ করবেন এবং ভবিষ্যতের জন্য সাহসী পদক্ষেপ নিতে পারবেন।

জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ

● লক্ষ্যহীন জীবন কেমন?

অনেকেই জীবনে কী করতে চান, কোথায় যেতে চান, বা কীভাবে এগোবেন তা ঠিক বুঝে উঠতে পারেন না। লক্ষ্য ছাড়া জীবন যেন একদম দিকভ্রান্ত। এর ফলে হতাশা বাড়ে, সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা তৈরি হয় এবং আত্মউন্নয়নের পথ বাধাগ্রস্ত হয়।

● কাউন্সেলিং সাহায্য করে কিভাবে?

একজন দক্ষ কাউন্সেলর আপনার আগ্রহ, ক্ষমতা ও চাহিদা অনুযায়ী জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণে সাহায্য করেন। আপনি কী করতে ভালোবাসেন, কোন পথে গেলে আপনি সুখী হবেন—এসব বিষয়ে দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়। তারা আপনাকে SMART (Specific, Measurable, Achievable, Relevant, Time-bound) লক্ষ্য নির্ধারণ করতে সহায়তা করেন, যাতে আপনি নিজের ভবিষ্যত গড়ে তুলতে পারেন।

মানসিক ভারসাম্য রক্ষা

● কেন মানসিক ভারসাম্য গুরুত্বপূর্ণ?

শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক শান্তি ও ভারসাম্য আমাদের সামগ্রিক জীবনের জন্য অপরিহার্য। যখন আমাদের মানসিক দিকটি সুস্থ থাকে, তখনই আমরা আত্মবিশ্বাসী, কর্মক্ষম এবং ইতিবাচক থাকি।

● কাউন্সেলিং কীভাবে ভারসাম্য বজায় রাখে?

কাউন্সেলিং কেবল সমস্যা সমাধান নয়, বরং জীবনে একটি স্থায়ী ভারসাম্য তৈরিতে সহায়তা করে। আপনি শিখবেন কীভাবে ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করবেন, কীভাবে অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণ করবেন, এবং কীভাবে জীবনে ছোট ছোট জিনিস থেকে আনন্দ খুঁজে পাবেন।

কাউন্সেলিং এর বিভিন্ন ধরন

 কাউন্সেলিং এর প্রয়োজনীয়তা
কাউন্সেলিং এর প্রয়োজনীয়তা

মানসিক স্বাস্থ্য ও জীবনের নানা সমস্যার জন্য বিভিন্ন ধরনের কাউন্সেলিং প্রয়োগ করা হয়। প্রতিটি ধরন আলাদা পরিস্থিতি ও চাহিদার জন্য উপযোগী। নিচে প্রধান তিন ধরনের কাউন্সেলিং সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

ব্যক্তিগত কাউন্সেলিং

ব্যক্তিগত কাউন্সেলিং হচ্ছে সবচেয়ে প্রচলিত ও ব্যক্তিগত সমস্যা সমাধানের জন্য বিশেষায়িত কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া। এটি মূলত একজন কাউন্সেলর এবং একজন ক্লায়েন্টের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। এখানে ক্লায়েন্ট তার নিজের জীবনের সমস্যা, অনুভূতি ও চিন্তাভাবনা একান্তভাবে কাউন্সেলরের সঙ্গে শেয়ার করেন।

ব্যক্তিগত কাউন্সেলিং এর ক্ষেত্রে আলোচনা হতে পারে:

  • উদ্বেগ ও মানসিক চাপ: দৈনন্দিন জীবনের নানা চাপ যেমন চাকরির দুশ্চিন্তা, পড়াশোনা বা সম্পর্কের কারণে উদ্ভূত উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা।
  • বিষণ্নতা: দীর্ঘদিন ধরে চলমান বিষণ্নতা বা মন খারাপের সমস্যা, যা জীবনের স্বাভাবিক গতি বাধাগ্রস্ত করে।
  • পারিবারিক ও ব্যক্তিগত সম্পর্কের সমস্যা: বাবা-মা, স্বামী-স্ত্রী, সন্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জটিলতার কারণ ও সমাধান।
  • আত্মবিশ্বাসের অভাব: নিজের ক্ষমতা ও যোগ্যতার প্রতি আস্থা না থাকা।
  • ব্যক্তিগত লক্ষ্য নির্ধারণ: জীবনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে বিভ্রান্তি।

কেন ব্যক্তিগত কাউন্সেলিং প্রয়োজন?

এখানে কাউন্সেলর পুরোপুরি আপনার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনেন এবং বুঝতে চেষ্টা করেন আপনার সমস্যার গভীরতা। তারপর ধীরে ধীরে আপনাকে আপনার সমস্যা মোকাবেলা করার জন্য প্রয়োজনীয় মানসিক কৌশল শেখানো হয়। এটি সম্পূর্ণ গোপনীয় এবং ব্যক্তিগত।

গোষ্ঠী কাউন্সেলিং 

গোষ্ঠী কাউন্সেলিং-এ একই ধরনের সমস্যায় ভুগছেন এমন কয়েকজন মানুষ একসাথে বসে আলোচনা করেন। সাধারণত এই সেশনগুলো ৫ থেকে ১২ জনের মধ্যে হয়। গোষ্ঠী কাউন্সেলিং একটি সামাজিক ও সমবেদনাপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করে, যেখানে সবাই একে অপরের অভিজ্ঞতা শুনতে এবং শেয়ার করতে পারেন।

গোষ্ঠী কাউন্সেলিং এর বৈশিষ্ট্য:

  • অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি: সদস্যরা তাদের জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে, যা অন্যদের জন্য সহায়ক ও প্রেরণাদায়ক হয়।
  • পারস্পরিক সমর্থন: একই সমস্যায় ভুগছেন এমন মানুষরা একে অপরকে মানসিক সমর্থন দিতে পারেন।
  • শিক্ষা এবং কৌশল শেখা: সদস্যরা নতুন মানসিক কৌশল ও সমাধান পদ্ধতি শিখতে পারেন, যা তারা তাদের জীবনে প্রয়োগ করতে পারেন।
  • সহানুভূতিশীল পরিবেশ: সবাই একই সমস্যার সম্মুখীন হওয়ায় কাউন্সেলিং আরও গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ হয়।

গোষ্ঠী কাউন্সেলিং-এর উপযোগিতা:

যাদের একাকীত্ব বেশি, তারা নিজেদের সমস্যা নিয়ে ভয় পান বা লজ্জায় ভুগেন, তারা গোষ্ঠী কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে সহজে নিজেদের মনের কথা খুলে বলতে পারেন। এতে একাকীত্ব দূর হয় এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ে।

পারিবারিক কাউন্সেলিং

পারিবারিক কাউন্সেলিং হলো পরিবারের সকল সদস্যকে একত্রিত করে করা একটি বিশেষ ধরনের কাউন্সেলিং। এই ধরনের কাউন্সেলিং মূলত পারিবারিক সম্পর্ক ও যোগাযোগ উন্নত করতে সাহায্য করে। যেখানে পরিবারের সদস্যরা নিজেদের ভেতরের সমস্যাগুলো প্রকাশ করে এবং বুঝতে চেষ্টা করে একে অপরের অনুভূতি।

পারিবারিক কাউন্সেলিং এর মূল বিষয়:

  • সম্পর্কের সমস্যা চিহ্নিত করা: পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি, মতানৈক্য বা দূরত্ব কী কারণে হচ্ছে তা খুঁজে বের করা।
  • যোগাযোগ দক্ষতা উন্নয়ন: কিভাবে পরিবারের সদস্যরা একে অপরের সঙ্গে ভালো ও সৎভাবে কথা বলতে পারেন তা শেখানো।
  • সমাধান ভিত্তিক আলোচনা: সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে সবাই মিলে সমাধানের পথ বের করা।
  • পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া বৃদ্ধি: পারস্পরিক সম্মান ও সমঝোতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করা।

পারিবারিক কাউন্সেলিং কাদের জন্য উপকারী?

যেসব পরিবারে নিয়মিত ঝগড়া, বিচ্ছেদ, অথবা মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়, তারা পারিবারিক কাউন্সেলিং থেকে অনেক উপকার পেতে পারে। এটি সন্তানদের শিক্ষাগত ও মানসিক উন্নতিতেও সাহায্য করে।

কাউন্সেলিং এর সময় কী আশা করবেন?

কাউন্সেলিং সেশন শুরুতেই প্রথম ধাপে আপনার সমস্যা এবং অনুভূতির বিস্তারিত আলোচনা হয়। এরপর কাউন্সেলর আপনার সমস্যার প্রকৃতি বুঝে আপনাকে মানসিক শান্তি ও সমস্যার সমাধানে গাইড করেন। আপনি ধীরে ধীরে নিজের সমস্যাগুলো মোকাবেলা করতে শেখেন এবং জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে শুরু করেন।

কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে মানসিক সুস্থতা অর্জন কিভাবে সম্ভব?

সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা

কাউন্সেলিংয়ের প্রথম ধাপ হচ্ছে সমস্যাগুলো ঠিকঠাকভাবে বুঝে ওঠা। যখন আপনি বুঝবেন আপনার সমস্যার মূল কী, তখন সমাধান খুঁজে পাওয়া সহজ হয়।

মানসিক চাপ কমানো

মেডিটেশন, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম এবং অন্যান্য মানসিক প্রশান্তির কৌশল শেখানো হয়, যা দৈনন্দিন জীবনে মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

ইতিবাচক চিন্তাধারা গড়ে তোলা

নেতিবাচক চিন্তাভাবনাকে দূরে সরিয়ে ইতিবাচক চিন্তা ও মনোভাব গড়ে তোলা হয়।

দৈনন্দিন জীবনে অভ্যাস গঠন

ভালো খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত ঘুম এবং নিয়মিত শারীরিক ব্যায়ামের মতো সুস্থ অভ্যাস তৈরি করতে সাহায্য করে।

কাউন্সেলিং নিয়ে সাধারণ ভুল ধারণা

ভুল ধারনা ১: কাউন্সেলিং মানেই মানসিক রোগী হওয়া

আসলে কাউন্সেলিং সব ধরনের মানুষের জন্য, যাদের জীবনে যে কোনো কারণে মানসিক চাপ বা সমস্যা আছে।

ভুল ধারনা ২: কাউন্সেলিং একবারেই পুরো সমস্যার সমাধান দেয়

কাউন্সেলিং একটি প্রক্রিয়া, ধাপে ধাপে কাজ করা হয়।

ভুল ধারনা ৩: কাউন্সেলিং শুধুমাত্র কথা বলা

কাউন্সেলিং অনেক ধরনের থেরাপি ও কৌশল নিয়ে গঠিত, শুধু কথা বলা নয়।

কাউন্সেলিং নেওয়ার উপায়

আপনি চাইলে সরাসরি Rehabilitation BD এর অফিসে আসতে পারেন অথবা ফোন বা অনলাইন মাধ্যমেও সেবা নিতে পারেন। আমরা ঢাকার যেকোন এলাকায় কাউন্সেলিং সেশন প্রদান করি।

কেন Rehabilitation BD আপনার সেরা পছন্দ?

অভিজ্ঞ এবং প্রশিক্ষিত কাউন্সেলররা

আমাদের এখানে শুধু শিক্ষিত নয়, বরং অনেক বছর ধরে প্র্যাকটিস করা দক্ষ কাউন্সেলর আছেন, যারা আপনার সমস্যাগুলো গভীরভাবে বুঝে সঠিক সমাধান দিতে সক্ষম।

ঢাকায় সহজলভ্য সেবা

ঢাকায় অবস্থিত আমাদের প্রতিষ্ঠানটি সহজে পৌঁছানো যায়, তাই ঢাকার যেকোন স্থান থেকে দ্রুত সেবা নেওয়া সম্ভব।

ব্যক্তিগত এবং গোপনীয়তা রক্ষা

আমাদের প্রতিটি সেশন সম্পূর্ণ গোপনীয় এবং ব্যক্তিগত। আপনার তথ্য বা আলোচনা কখনোই বাহির করা হবে না।

উন্নত ও সহানুভূতিশীল পরিবেশ

আমাদের কাউন্সেলিং সেন্টারটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যা আপনাকে মানসিক শান্তি দিতে সাহায্য করে। আপনি এখানে নিজেকে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন।

সাশ্রয়ী এবং মানসম্মত সেবা

আমরা সর্বোচ্চ মানের কাউন্সেলিং সেবা সাশ্রয়ী মূল্যে প্রদান করি, যাতে সবাই মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে পারে।

রিহ্যাব সেবার জন্য ফ্রি কনসালটেশন নিতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: কল করুন: +88 01716623665

উপসংহার

কাউন্সেলিং এর প্রয়োজনীয়তা আজকের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক চাপ, সম্পর্কের সমস্যা বা জীবনের লক্ষ্য নিয়ে দ্বিধার মধ্যে থাকলে কাউন্সেলিং আপনার জীবনের মান উন্নত করতে সাহায্য করবে। Rehabilitation BD এর সাথে যুক্ত হয়ে আপনি পেতে পারেন দক্ষ কাউন্সেলরদের সেবা, যাদের অভিজ্ঞতা এবং সহানুভূতি আপনার জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।

মানসিক সুস্থতা ও সুখী জীবনযাপন আজকের সময়ের প্রয়োজন। তাই আজই যোগাযোগ করুন Rehabilitation BD এর সাথে, এবং আপনার জীবনের যেকোনো সমস্যার সহজ সমাধান পেয়ে যান।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী 

১. কাউন্সেলিং কী এবং এটি কাদের জন্য প্রয়োজন?

উত্তর: কাউন্সেলিং হলো মানসিক ও ব্যক্তিগত সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য বিশেষায়িত আলোচনা ও সাহায্য প্রদান প্রক্রিয়া। যেকোনো বয়সী ও পেশার মানুষ যাদের মানসিক চাপ, হতাশা, সম্পর্কের জটিলতা বা জীবন লক্ষ্য নিয়ে সমস্যা আছে তাদের জন্য এটি প্রয়োজনীয়।

২. কাউন্সেলিং করালে কি আমি আমার সব সমস্যার সমাধান পেয়ে যাব?

উত্তর: কাউন্সেলিং একটি ধাপে ধাপে চলা প্রক্রিয়া। এটি আপনাকে নিজের সমস্যা বুঝতে এবং মোকাবেলা করার উপায় শেখায়, ফলে ধীরে ধীরে আপনি নিজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

৩. কাউন্সেলিং সেশনে কি কি বিষয় আলোচনা করা হয়?

উত্তর: সেশনে আপনার মানসিক চাপ, ব্যক্তিগত সমস্যা, পারিবারিক সম্পর্ক, আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি, জীবন লক্ষ্য নির্ধারণ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কথা বলা হয়। কাউন্সেলর আপনাকে সমাধানের পথ দেখান এবং মানসিক শান্তি এনে দেন।

৪. কাউন্সেলিংয়ে গোপনীয়তা কেমনভাবে রক্ষা করা হয়?

উত্তর: Rehabilitation BD তে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ও আলোচনা সম্পূর্ণ গোপন রাখা হয়। কাউন্সেলিং সেশনগুলো নিরাপদ ও গোপনীয় পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়।

৫. ঢাকায় কাউন্সেলিং সেবা কোথায় পাওয়া যাবে?

উত্তর: ঢাকায় সহজলভ্য ও মানসম্মত কাউন্সেলিং সেবা পাওয়ার জন্য আপনি সহজেই Rehabilitation BD এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

৬. কাউন্সেলিং এর সময় কতক্ষণ লাগে এবং কতগুলো সেশন দরকার হয়?

উত্তর: সাধারণত একটি সেশন ৪৫ থেকে ৬০ মিনিটের হয়। মোট সেশন সংখ্যা ব্যক্তির সমস্যার ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়, তবে প্রায় ৬ থেকে ১২ সেশন নিয়মিত নেওয়া ভালো ফল আনে।

৭. কাউন্সেলিংয়ের জন্য কি আগে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হয়?

উত্তর: হ্যাঁ, Rehabilitation BD এ সেবার জন্য আগাম অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হয় যাতে নির্ধারিত সময়ে আপনার জন্য কাউন্সেলর প্রস্তুত থাকতে পারেন।

৮. কাউন্সেলিং এবং থেরাপির মধ্যে পার্থক্য কী?

উত্তর: কাউন্সেলিং মূলত সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের পথ খোঁজার প্রক্রিয়া, আর থেরাপি হলো গভীরতর চিকিৎসা পদ্ধতি যা মানসিক রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top