সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তি আজকের ডিজিটাল যুগে অনেকেরই জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু কখনই এটা বুঝে ওঠা যায় না, কখন এটি আসক্তিতে পরিণত হয়—ঘুমে সমস্যা, কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া, উদ্বেগ, বিষণ্নতা এমনকি স্ব-সম্মানেও আঘাত চলে আসে। এই পোস্টে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো—কি কারণে এটি বাড়ছে, এর নেতিবাচক প্রভাব, কীভাবে এ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, এবং কেন “Rehabilitation BD” আপনার জন্য সবচেয়ে কার্যকর সহায়ক।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তি কি?

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তি (Social Media Addiction) হলো এমন একটি মানসিক ও আচরণগত অবস্থা, যেখানে একজন ব্যক্তি অতিরিক্ত সময় ও মনোযোগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (যেমন: Facebook, Instagram, TikTok, YouTube, WhatsApp ইত্যাদি) ব্যয় করে এবং সেটি তার দৈনন্দিন জীবন, কাজ, ঘুম, সম্পর্ক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

রিহ্যাব সেবার জন্য ফ্রি কনসালটেশন নিতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: কল করুন: +88 01716623665

কেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তি বাড়ছে?

প্রতিদিন অনলক করা সহজ
স্মার্টফোনের এক ক্লিকে চলে আসে সব—তাজা খবর, পোষ্ট, ছবি, ভিডিও। তাই মাঝে মাঝে যেখানে একবারে জড়িয়ে পড়া স্বাভাবিক বিষয়, আসক্তিতে রূপান্তরিত হয়।

FOMO (Fear of Missing Out)
“অনুপস্থিত হওয়ার ভয়”—যদি আপনি কোনো ক্রিয়াকলাপ বা খবর মিস করেন, সেটি নিয়ে উদ্বেগ। এই ভয় আপনাকে বারবার স্ক্রোল করতে বাধ্য করে।

লাইক‑শেয়ার ও সেলিব্রিটি কালেকশন
লাইক বা শেয়ার পেলে মনে হয় জনপ্রিয়তা বড়ছে। এটা মনোরোগের প্রবণতাকে জাগিয়ে তোলে।

শূন্যতা ও বিচ্ছিন্নতা পূরণ
আসলে সামাজিক ইন্টারেকশন দরকার হলেও অনলাইনকে প্রকৃত বিকল্প হিসেবে দেখা হয়।


সামাজিক মিডিয়া আসক্তির নেতিবাচক প্রভাব

মানসিক স্বাস্থ্যে ক্ষতি

  • বিষণ্নতা ও উদ্বেগ: পরির্বতিত লাইফস্টাইল, কনটেন্ট থেকে পারফেকশনিস্ট মানসিকতা তৈরি হয়।
  • সামাজিক বিচ্ছিন্নতা: অনেক সময় বাস্তব বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো কমিয়ে দেয়।

ঘুমে বাধা

  • স্ক্রিন‑টাইম বাড়লে মেলাটোনিনের ব্যালেন্স নষ্ট হয়। ঘুম কমে যায়, ঘুম মান খারাপ হয়।

কর্মক্ষমতা ও জীবনধারায় প্রভাব

  • পুরোপুরি মনোযোগ কাঠ নয়, ফলে পড়াশোনা বা কাজের ফলাফল খারাপ হতে পারে।
  • দৈনন্দিন রুটিন বিঘ্নিত হয়।

স্ব-সম্মান ও সামাজিক অনুমান

  • নিজকে অন্যদের সঙ্গে তুলনা করে কম আত্মসম্মান অনুভব করা।
  • ঈর্ষা, প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পায়।

আপনার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তি কি লক্ষণ?

  • দিনে কতটুকু সময়ে ব্যবহার হয়, সেটি না বুঝে যাওয়া
  • বাধ্য হয়ে বারবার চেক করা
  • সে কারণে কাজ বা খাওয়া-ঘুমে বাধা
  • মন খারাপ, অস্থিরতা, চাপ অনুভব
  • বন্ধু বা পরিবার থেকে নির্লিপ্ত হয়ে পড়া
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তি

সোশ্যাল মিডিয়া এবং মানসিক স্বাস্থ্য

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বর্তমানে আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। Facebook, Instagram, TikTok, YouTube-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলো আমাদের তথ্যের জগতে প্রবেশের দরজা খুলে দিয়েছে। তবে এই প্রযুক্তিগত উন্নয়নের পেছনে লুকিয়ে আছে এক অদৃশ্য কিন্তু গভীর সমস্যা—মানসিক স্বাস্থ্য বিপর্যয়

সোশ্যাল মিডিয়ার ইতিবাচক প্রভাব

সবার আগে স্বীকার করে নেওয়া জরুরি যে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সবসময়ই খারাপ নয়। সঠিক ব্যবহারে এটি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।

  • যোগাযোগের মাধ্যম: দূরে থাকা প্রিয়জনের সঙ্গে সংযোগ বজায় রাখার সহজ উপায়।
  • শেখার সুযোগ: মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক কনটেন্ট মানুষকে অনেক কিছু জানতে ও বুঝতে সাহায্য করে।
  • সহযোগিতার জায়গা: অনেকেই সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে নিজেদের মানসিক সমস্যার কথা ভাগ করে নেন এবং সেখান থেকে সমর্থন ও সহানুভূতি পান।

অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকি

তবে সমস্যা দেখা দেয় যখন এই মাধ্যমের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। নিচে কিছু মূল সমস্যার আলোচনা করা হলো:

বিষণ্ণতা (Depression)

নিয়মিত অন্যদের “পারফেক্ট” জীবন দেখে অনেকে নিজের জীবনকে হীন মনে করেন। এতে আত্মসম্মান হ্রাস পায় এবং ধীরে ধীরে বিষণ্ণতা তৈরি হয়।

“সবাই অনেক সুখী, আমি পিছিয়ে আছি”—এই ভুল ধারণা একজনকে মানসিকভাবে ভেঙে ফেলতে পারে।

উদ্বেগ (Anxiety)

যখন কেউ প্রতিনিয়ত লাইক, কমেন্ট বা ফলোয়ার সংখ্যা নিয়ে চিন্তিত থাকে, তখন তার মধ্যে সামাজিক উদ্বেগ (social anxiety) বেড়ে যায়।

  • বারবার ফোন চেক করা
  • কেমন ছবি দিলে বেশি রিঅ্যাকশন পাবো—এই দুশ্চিন্তা
  • অনলাইনে উপস্থিত না থাকলে পিছিয়ে পড়ার ভয়

এই সবই মানুষকে অস্থির ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করে তোলে।

বিচ্ছিন্নতা ও একাকীত্ব

বিভ্রান্তিকর হলেও সত্য, সোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহার মানুষকে বাস্তব জীবনের সম্পর্ক থেকে দূরে সরিয়ে দেয়

  • পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর পরিবর্তে মোবাইলে ডুবে থাকা
  • ভার্চুয়াল সম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়ে বাস্তব সংযোগ ভুলে যাওয়া

এই অভ্যাস দীর্ঘমেয়াদে একাকীত্ব ও সামাজিক বিচ্ছিন্নতা তৈরি করে।

FOMO (Fear of Missing Out)

FOMO হলো এমন এক মানসিক অবস্থা, যেখানে মনে হয় সবাই আনন্দ করছে, শুধু আপনি বাদ পড়ে আছেন।

  • অন্যের ভ্রমণের ছবি দেখে মন খারাপ হওয়া
  • অনুষ্ঠানে যেতে না পারায় হতাশ হওয়া

FOMO মানসিকভাবে একজনকে অতৃপ্ত ও হতাশ করে তোলে।

কম আত্মসম্মান (Low Self-Esteem)

সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্যদের সাজানো জীবন দেখে নিজের জীবনকে তুচ্ছ মনে হওয়া অস্বাভাবিক নয়।

  • “আমার চেহারা, পোশাক, ফোন—সবকিছুতেই আমি কম” মনে হওয়া
  • নিজের অর্জনকে ছোট মনে করা

এগুলো একজনের আত্মবিশ্বাস ধ্বংস করে এবং নিজেকে তুচ্ছ ভাবার প্রবণতা তৈরি করে।

দৈনন্দিন রুটিন ব্যাহত হওয়া

সোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহার প্রতিদিনের কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটায়।

  • পড়াশোনার সময়ে ফোকাস না থাকা
  • কর্মক্ষেত্রে পারফরম্যান্স কমে যাওয়া
  • নির্ধারিত কাজ সময়মতো না করা

এতে জীবনের গতি হ্রাস পায় এবং ব্যক্তিগত উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ঘুমে ব্যাঘাত

রাতে বিছানায় শুয়ে অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন। ফলাফল:

  • ঘুমাতে দেরি হওয়া
  • ঘুমের মান খারাপ হওয়া
  • সকালে ক্লান্ত ও অলস অনুভব করা

স্ক্রিনের আলো (blue light) ঘুমের হরমোন (melatonin) কমিয়ে দেয়, যা ঘুমহীনতা ও মানসিক চাপ তৈরি করে।

মানসিক চাপ ও জ্বালাময়ী অনুভূতি

ট্রল, নেতিবাচক মন্তব্য, কিংবা অন্যের সফলতা দেখে নিজেকে ছোট ভাবা—এসব বিষয় মানসিক চাপ ও জ্বালাময় অনুভূতি বাড়ায়।

  • নিজেকে প্রমাণ করার চাপ
  • অন্যের মতো হতে না পারার হতাশা
  • ভার্চুয়াল অপমান

এই চাপ একজন মানুষকে বিষণ্ণতার দিকে ঠেলে দেয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: ট্রিগার হিসেবে কাজ করে

বিশেষ করে যেসব মানুষ ইতোমধ্যেই উদ্বেগ, বিষণ্ণতা বা আত্মসম্মানের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া এক ধরণের trigger বা উত্তেজক উপাদানে পরিণত হয়।

  • ছোট একটি মন্তব্য তাদের পুরো দিনের মুড নষ্ট করে দিতে পারে।
  • নিজের পোস্টে কম লাইক পেলে মন খারাপ হয়ে যায়।
  • অন্যের জীবন দেখে নিজের জীবনকে মূল্যহীন মনে হয়।


সামাজিক মাধ্যমের আসক্তি থেকে মুক্তির উপায়

আজকের ডিজিটাল যুগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তি এক ধরনের মানসিক নির্ভরতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সুসংবাদ হলো—এই আসক্তি থেকে ধাপে ধাপে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। নিচে কিছু বাস্তবসম্মত, কার্যকর এবং সহজ উপায় তুলে ধরা হলো, যা মেনে চললে আপনি ধীরে ধীরে এই আসক্তি থেকে নিজেকে বের করে আনতে পারবেন।

নিজের ব্যবহার ও সময় মূল্যায়ন করুন

প্রথম ধাপে আপনি কতটা সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কাটাচ্ছেন—তা জানা খুব জরুরি। এজন্য:

  • দিনে ক’বার ফোন হাতে নিচ্ছেন, তা খেয়াল করুন।
  • প্রথম ৩ দিন সময় ট্র্যাক করুন—সকাল, দুপুর, রাত কখন বেশি স্ক্রোল করেন।
  • একটি নোটবুকে লিখে রাখুন কখন, কতক্ষণ, কোন অ্যাপে বেশি সময় দিচ্ছেন।

এই মূল্যায়ন আপনাকে নিজের অভ্যাস বুঝতে ও পরিবর্তনের পরিকল্পনা গঠন করতে সাহায্য করবে।

নিজের জন্য সীমানা নির্ধারণ করুন

একটি পরিষ্কার এবং বাস্তবসম্মত সময়সীমা ঠিক করুন। যেমন:

  • সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত একদম না।
  • দুপুর ১টায় ১৫ মিনিটের জন্য Facebook বা Instagram চেক করা যাবে।
  • রাত ৯টার পর আর কোনো সোশ্যাল মিডিয়া নয়।

এই সীমা মানতে কষ্ট হলেও, ধীরে ধীরে অভ্যাস হয়ে যাবে এবং আপনি বাস্তব জীবনের প্রতি আগ্রহ ফিরে পাবেন।

নোটিফিকেশন নিষ্ক্রিয় করুন

নোটিফিকেশন আসলেই আমরা অটোমেটিক ফোন হাতে নিই। তাই:

  • সকল সোশ্যাল অ্যাপের নোটিফিকেশন বন্ধ করুন
  • শুধু প্রয়োজনীয় অ্যাপ (যেমন ফোন, মেসেজ, ব্যাংক অ্যাপ) চালু রাখুন।

নোটিফিকেশন না পেলে মনোযোগ বিভ্রান্ত হবে না, ফলে ফোনে সময়ও কম কাটবে।

দীর্ঘমেয়াদী সুবিধা বিবেচনা করুন

সোশ্যাল মিডিয়ার তাৎক্ষণিক আনন্দের চেয়ে দীর্ঘমেয়াদি মানসিক প্রশান্তি ও স্বাস্থ্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

এর বদলে সময় দিন—

  •  মেডিটেশন বা ধ্যান চর্চায়
  •   হেঁটে বেড়ানো বা জগিং
  • বই পড়া বা সৃজনশীল কিছু শেখা

আপনি লক্ষ্য করবেন, মানসিক চাপ কমে যাচ্ছে এবং জীবন অনেক বেশি অর্থবহ হয়ে উঠছে।

মানসিক সমর্থন নিন

যারা আপনার মতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্ত, তাদের সঙ্গে গোপনে বা খোলামেলাভাবে কথা বলুন। এতে—

  • আপনি একা বোধ করবেন না
  • অন্যের অভিজ্ঞতা শুনে প্রেরণা পাবেন
  • একসাথে চেষ্টা করলে পরিবর্তন সহজ হয়

পারিবারিক সদস্য, বন্ধু, কিংবা রিহ্যাব সেন্টার থেকেও আপনি সমর্থন পেতে পারেন।

নিজের অগ্রগতি মূল্যায়ন করুন

সপ্তাহে অন্তত একদিন সময় দিন নিজের জন্য। ভাবুন—

  • এই সপ্তাহে আপনি কেমন ব্যবহার করেছেন?
  • কী পরিবর্তন আনতে পেরেছেন?
  • কোন সময়ে দুর্বল হয়ে পড়েছেন?
  • কোথায় উন্নতি করেছেন?

একটি জার্নাল রাখুন। নিজেকে মূল্যায়ন করার ফলে আপনি ভবিষ্যতের পরিকল্পনা আরও ভালোভাবে করতে পারবেন।

মোবাইল বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করুন

আজকাল প্রায় সব স্মার্টফোনেই Digital Wellbeing বা Screen Time অপশন থাকে। এগুলোর ব্যবহার করুন:

  • কোন অ্যাপে কত সময় ব্যয় করছেন তা দেখুন
  • প্রতিদিন নির্দিষ্ট অ্যাপের জন্য টাইম-লিমিট দিন
  • টাইম শেষ হলে ফোন অটো-লক হয়ে যাবে (আপনার নিয়ন্ত্রণ বাড়বে)

 এই প্রযুক্তিগত নিয়ন্ত্রণ আপনাকে নিজের মোবাইল ব্যবহারে শৃঙ্খলা আনতে সাহায্য করবে।

ডিজিটাল মুক্ত অঞ্চল তৈরি করুন

সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মুক্তির জন্য কিছু জায়গাকে “No Phone Zone” ঘোষণা করুন:

  • শোবার ঘর (ঘুমে ব্যাঘাত কমবে)
  • খাবারের টেবিল (পারিবারিক সময় বাড়বে)
  • পড়ার ঘর (মনোযোগ ও ফোকাস বাড়বে)

রাতে ঘুমানোর ১ ঘণ্টা আগে থেকে ফোন থেকে দূরে থাকলে মানসিক শান্তি ও ঘুমের মান ভালো হবে।

স্বাস্থ্যকর শখ গড়ে তুলুন

খালি সময়ে যদি বিকল্প কিছু না থাকে, তাহলে আবার ফোনেই ফিরে যাবেন। তাই:

  • ছবি আঁকা
  • গান শোনা বা গাওয়া
  • রান্না শেখা
  • খেলাধুলা করা

এই সব শখ শুধু আসক্তি কমাতেই নয়, বরং আপনার মানসিক প্রশান্তি এবং আত্মবিশ্বাস বাড়াতে অনেক বেশি কার্যকর।

সামাজিক সম্পর্কের দিকে ফিরে যান

ভার্চুয়াল সম্পর্কের বদলে বাস্তব জীবনের সম্পর্ক গড়ে তুলুন:

  • বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করুন
  • পরিবারের সঙ্গে কথা বলুন, গল্প করুন
  • একসাথে খাওয়া, হাঁটা, খেলা করুন

আপনি অনুভব করবেন—বাস্তব জীবনের সম্পর্ক অনেক বেশি মূল্যবান এবং জীবনের সত্যিকারের আনন্দ এখানেই।

কেন Rehabilitation BD সবচেয়ে কার্যকর?

বিশেষজ্ঞ সহায়তা
আমাদের ক্লিনিশিয়ান এবং কাউন্সেলররা সামাজিক মাধ্যমের আসক্তি ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশিক্ষিত।

বৈশ্বিক সামঞ্জস্যমূলক পদ্ধতি
কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি (CBT), মাইন্ডফুলনেস, ধ্যান, লাইফস্টাইল কোচিং—সবই সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রয়োগ করা হয়।

স্থানীয় সংস্কৃতির সঙ্গে সঙ্গতি
আপনার ভাষা, সংস্কৃতি, অভ্যর্থনা—সব কিছু মাথায় রেখে সাহায্য দেয়া হয়।

অনলাইন ও অফলাইন সুবিধা
কোয়ারেন্টিন থাকলেও বা বাইরে থেকেও ভার্চুয়াল সাপোর্ট দেওয়া হয়।

অনুদান ও ক্রেডিট সুবিধা
বিভিন্ন গ্রুপ শ্রেণী ও ব্যক্তির জন্য বিশেষ প্যাকেজ রয়েছে।

সফল গল্প
বহু মানুষ সরাসরি কথা বলেই ফিরে পেয়েছে ঘুম, শান্তি, সফলতা।


আপনার একটি পরিকল্পনা

পদক্ষেপবিস্তারিত
মানুষ যন্ত্রণার কারণ নির্ণয় করুন“আমি কেন স্ক্রোল করি?”—ট্রিগার চিহ্নিত করুন
সময় নির্ধারণশুরুতে ৩০ মিনিট কমিয়ে দিন; পর্যায়ক্রমে আরও কমিয়ে আনুন
ডিজিটাল ডিটক্সসপ্তাহে ১‑২ ঘন্টা সোশ্যাল‑মুক্ত রাখুন
নতুন শখ / অভ্যাসসকাল বা বিকেলে হাঁটা, বই‑পড়া, রান্না করুন
সাপোর্ট ব্যাবস্থাপরিবার, বন্ধু, Rehab BD‑এর প্রফেশনালের সঙ্গে কথা বলুন
সাফল্য চিহ্নিত করুনপ্রতি সপ্তাহে আপনার অগ্রগতি মূল্যায়ন করুন

উপসংহার

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তি হতে পারে ছোটভাবে শুরু, কিন্তু ওভারটাইম তা আপনার জীবন থেকে স্বাভাবিকতা কেড়ে নিতে পারে। তবে আপনি মনোযোগ দিলে, পরিকল্পনা করলে, প্রয়োজনে সহযোগিতা নিলে—এর থেকে মুক্তি পেয়ে আপনার ঘুম, কর্মক্ষমতা, মানসিক শান্তি, এবং স্ব-সম্মান পুনরুদ্ধার করতে পারবেন। এবং এই যাত্রায় Rehabilitation BD থাকবে আপনার পাশে—প্রশিক্ষিত আধুনিক পদ্ধতি, স্থানীয় ভাষা এবং ব্যক্তিগত সহায়ক পরিকল্পনার মাধ্যমে।

আপনার পূর্ণ প্রকৃতিতে ফিরে যাওয়ার এই যাত্রায় আমরা আছি, ভালো থাকার পথে একসাথে অগ্রসর হয়ে যাই!

রিহ্যাব সেবার জন্য ফ্রি কনসালটেশন নিতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: কল করুন: +88 01716623665

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তি কীভাবে বোঝা যায়?

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছাড়া অস্থিরতা অনুভব করা, অতিরিক্ত সময় স্ক্রোল করা, দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হওয়া, এবং বাস্তব জীবনের সম্পর্ক থেকে দূরে সরে যাওয়া—এসবই আসক্তির লক্ষণ।

সোশ্যাল মিডিয়া কি মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে?

হ্যাঁ, অতিরিক্ত ব্যবহার বিষণ্ণতা, উদ্বেগ, আত্মসম্মান হ্রাস এবং একাকীত্বের অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে, যা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

বাচ্চাদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তি কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়?

নিয়মিত পর্যবেক্ষণ, ব্যবহার সময় সীমাবদ্ধ করা, বিকল্প বিনোদনের ব্যবস্থা রাখা এবং পরিবারিক সময় বাড়ানো খুবই কার্যকর উপায়।

সামাজিক মাধ্যম থেকে পুরোপুরি দূরে থাকা কি সমাধান?

না, সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলা না করে সচেতন ও সীমিত ব্যবহারই উত্তম। স্বাস্থ্যকর ভারসাম্য বজায় রাখা সবচেয়ে কার্যকর উপায়।

সামাজিক মিডিয়া আসক্তি থেকে মুক্তির জন্য কোনো থেরাপি আছে?

হ্যাঁ, Cognitive Behavioral Therapy (CBT), মাইন্ডফুলনেস থেরাপি ও লাইফস্টাইল কাউন্সেলিং এই সমস্যা দূর করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। Rehabilitation BD‑তে এসব পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়।

কত ঘন্টা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিরাপদ?

প্রতিদিন ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা পর্যন্ত সীমিত ব্যবহার মানসিক ও দৈনন্দিন জীবনের জন্য গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত।

Rehabilitation BD কীভাবে সাহায্য করতে পারে?

Rehabilitation BD পেশাদার কাউন্সেলিং, ডিজিটাল আসক্তি থেরাপি এবং ব্যক্তিভিত্তিক সহায়তার মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top